Skip to main content

PTC সাইট থেকে আয়ঃ ক্লিক্সসেন্স থেকে আয় করার পূর্ণ গাইডলাইন

আজ  যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো তা হচ্ছে ক্লিক্সসেন্স এবং এটি দ্বারা কিভাবে আয় করা যায় তাই নিয়ে আলোচনা করবো। আমি আমার এই পোষ্টে ক্লিক্সসেন্স সমন্ধে একটি ভালো রিভিউ দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি ক্লিক্সসেন্স এ যারা কাজ করছেন এবং যারা কাজ করতে চাইছেন তাদের সবার এই পোষ্টটি কাজে আসবে।ক্লিক্সসেন্স কি ?ক্লিক্সসেন্স একটি পিটিসি সাইট তবে এটি অন্যান্য পিটিসি সাইটের মতো না। এটির সমন্ধে আরোও
রিভিউ দেখতে চাইলে আপনি গুগলে খুজে দেখতে পারেন। Example: ClixSense review or Is ClixSense Scam ? এই দুটি কমন কীওয়ার্ড দিয়ে আপনি চাইলে গুগলে খোজ করে দেখতে পারেন। ক্লিক্সসেন্স হচ্ছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে আপনি বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। ক্লিক্সসেন্স সাধারনত প্রতি ক্লিক এর জন্য পে করে থাকে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এখন ক্লিক্সসেন্স আরোও বাড়তি কিছু কাজের জন্য পে করছে।কিভাবে আমি ক্লিক্সসেন্সে রেজিষ্টার করবো ?আপনাকে এই লিংকে গিয়ে সাইন আপ করতে হবে এবং সাইন আপ করা হয়ে গেলে আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকাশন লিঙ্ক আসবে তারপর লিঙ্কে গিয়ে আপনার একাউন্ট এক্টিভ করতে হবে।

কিভাবে আমি ক্লিক্সসেন্স থেকে আয় করবো ?
ক্লিক্সসেন্স থেকে আয় করার অনেক গুলো পদ্ধতি আছে। আমি সব গুলো পদ্ধতি বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করেছি।
->বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে
প্রতিদিন আপনি চার ধরনের বিজ্ঞাপন পাবেন ওইগুলা ক্লিক করে আপনি আয় করতে পারেন। তবে বিজ্ঞাপন অনেক কম দেয় ক্লিক্সসেন্স তাই শুধু বিজ্ঞাপন দেখে আপনি বেশি আয় করতে পারবেন নাহ। একেকটি বিজ্ঞাপন একেক ধরণের যেমন কোনোটা ৬০ সেকেন্ড আবার কোনোটা ৩ সেকেন্ড। বিজ্ঞাপনের সময়/ধরণ অনুযায়ী ক্লিক্সসেন্স আপনাকে পে করবে।
যখন আপনি কোনো এডে ক্লিক করবেন সাথে সাথেই আপনি একটি নতুন টেবে চলে যাবেন এবং আপনাকে কয়েকটি ছবি থেকে বিড়ালের ছবি নির্বাচন করতে হবে। এটি হচ্ছে (Captcha Verification)





->টাস্ক করার মাধ্যমে
Best Java, Android Games, Apps ক্লিক্সসেন্সের সবচেয়ে লাভজনক উপায় হচ্ছে টাস্ক সম্পূর্ণ করা। এইখানে আপনি অনেক ধরনের ছোট ছোট কাজ পাবেন যেগুলো আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। কঠিন কোনো কাজ না যেমন দুইটি সাইটের তুলনা করা, স্পষ্ট চিত্র নিয়ন্ত্রণ করা, সার্ভে সম্পূর্ণ করা, একাডেমিক গবেষণামূলক সার্ভে সম্পূর্ণ করা, কীওয়ার্ড তৈরি করা ইত্যাদি। যদি এই কাজ গুলো করতে সমস্যা হয় তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি আপনাকে দেখিয়ে দিলেই আপনি পারবেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে ক্লিক্সসেন্সে এমন অনেক সদস্য আছে যারা শুধু টাস্ক করার মাধ্যমেই আয় করছে।
>অফার সম্পন্ন করার মাধ্যমে
ক্লিক্সসেন্সে অনেক অফার আসে এবং এই অফার শুধু চেক করলেই আয় করা যায়। অফার গুলো হচ্ছে যেমন আপনাকে কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার জন্য বলা হতে পারে, কোনো সামাজিক যোগাযোগের সাইটের ভিডিও দেখার জন্য বলা হতে পারে অথবা অনলাইন রেডিও শুনার জন্য বলা হতে পারে। ক্লিক্সসেন্সে অফারের পেইজে আপনি আপনার অফার চেক করতে পারবেন।
->Clixgrid খেলার মাধ্যমে
এটি হচ্ছে একটি লটারি খেলা। এই খেলার মাধ্যমে আপনি দিনে ১০ ডলারও আয় করতে পারবেন। এই খেলায় আপনি দিনে ৩০ বার ক্লিক করতে পারবেন। ৩০ বারে আপনি আয় করতেও পারেন আবার নাও পারেন এইটায় আমি আপনাকে সিউরিটি দিতে পারবো নাহ কিন্তু আমি আপনাকে সাজেশন দিতে পারি যে, প্রতিদিন ক্লিক করতে থাকেন, কিছু পেলেও পেতে পারেন । আমি নিজেই টোটাল ১২৯ বার চেষ্টা করার পর ২ ডলার আয় করেছি এইখান থেকে এবং আজকেও ২৫ সেন্ট পেয়েছি। এটি হচ্ছে একটি সুযোগ এবং ভাগ্যর খেলা যতো বেশি আপনি ট্রাই করতে থাকবেন আপনার আয় করার সুযোগও ততো বেশি বাড়তে থাকবে।
Earn @ Wap4dollar.Com
>অন্যদেরকে রেফারিং করার মাধ্যমে
ক্লিক্সসেন্সের সব চেয়ে ভালো দিক হচ্ছে এটি। অন্যদেরকে রেফারিং করার মাধ্যমে আপনি কমিশন পেতে পারেন আর আপনি যদি প্রিমিয়াম মেম্বার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ৭ লেভেল পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন তাই চেষ্টা করুন আপনার রেফারেল লিঙ্ক দিয়ে অন্যকে সাইন আপ করাতে। শুধু সাইন আপ করালেই হবে না যাকে সাইন আপ করিয়েছেন তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন সে যেনো নিয়মিত কাজ করে সে দিকেও খেয়াল রাখুন, যতটুকু পারেন তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, সে কাজ করলেই আপনি কমিশন পাবেন তা না হলে পাবেন না। তাই সে যেনো কাজ করতে পারে তাই তাকে সব ধরনের সহায়তা করুন।
->একাউন্ট আপগ্রেড করার মাধ্যমে
একাউন্ট আপগ্রেড করার জন্য বছর প্রতি আপনাকে $17 ডলার ক্লিক্সসেন্সকে দিতে হবে। তাহলে আপনি প্রিমিয়াম মেম্বার হতে পারবেন । আসলে নরমাল মেম্বার এবং প্রিমিয়াম মেম্বারদের ভিন্ন কোনো পার্থক্য নেই তবে প্রিমিয়াম মেম্বাররা ৭ লেভেল পর্যন্ত কমিশন পায়, Clixgrid খেলায় ৩০ বারের জায়গায় তারা ৬০ বার ক্লিক করার সুযোগ পায়, আর তারা ৬ ডলার হলেই টাকা উত্তোলন করতে পারে। আপনার যদি অনেক রেফারেল থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার একাউন্ট আপগ্রেড করে নিতে পারেন।
->প্রতিদিন চেকলিস্ট দেখার মাধ্যমে
এটি হচ্ছে একটি বোনাস আয়ের মাধ্যম। এটি পেতে হলে আপনাকে চেকলিস্ট সম্পূর্ণ করতে হবে। উপরের যদি কোনো একটি কাজও অসম্পূর্ণ থাকে তাহলে আপনি এই বোনাস পাবেন নাহ তাই চেষ্টা করুন সব গুলো কাজ সম্পূর্ণ করার।
আমি আপনাদেরকে ক্লিক্সসেন্স সমন্ধে সব কিছু বলার চেষ্টা করেছি এবং আপনার যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি ক্লিক্সসেন্সের ফোরামে যেতে পারেন আর তাদের সদস্যদের কাছে যেকোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন আবার আপনি চাইলে আমার সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
টাকা উত্তোলন কিভাবে করবো ?
আমি ব্যক্তিগত ভাবে আপনাকে payza ব্যবহার করতে বলবো । এছাড়া ক্লিক্সসেন্স Paytoo এবং paypal সাপোর্ট করে। নিমিমাম ৮ ডলার হলেই আপনি ক্যাশ আউট করতে পারেন আর প্রিমিয়াম মেম্বার হলে ৬ ডলারে ক্যাশ আউট করতে পারবেন।
যদি Payza একাউন্ট না থাকে তাহলে আজই একটি একাউন্ট খুলে নিন। একাউন্ট খুলতে এই লিঙ্কে   গিয়ে সাইন আপ করুন। সাইন আপ করার পর আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে, ভেরিফাই না করা পর্যন্ত লেনদেনন না করাই ভালো।
পেমেন্ট প্রুফ –


 পাঠকদের বলতে চাই এটি কোনো এক্সক্লুসিভ আয় করার উৎস না তবে এটি হতে পারে আপনার সাইড আর্নিং সোর্স। যেহুতু ক্লিক্সসেন্স ২০০৭ থেকে রেগুলার পে করে যাচ্ছে তাই এটিকে আপনি আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন

Comments

Popular posts from this blog

অলস সময়কে কাজে লাগিয়ে পকেট খরচ চালান

স্বাগতম এআইটি টেক-এ।  সারাদিন নানা কাজের ব্যাস্ততার  ফাঁকে কিছুটা বা অনেকটা অলস সময় পড়ে থাকে। সেই সময়টাকেও কাজে লাগিয়ে  পকেট খরচ চালানোর মত টাকাটা আয় করা খুব সহজ। যদিও অনলাইনে আয় করাটা তেমন সহজ একটা কাজ না। তবে এখানে আমি যেটা শেয়ার করছি সেটা তুলনামূলক সহজ এবং পেমেন্ট বিকাশেও নেয়া যায়। এবং মাসে ৩০০০

অনেকতো ডলার ইনকাম করলেন। এবার ইউরো ইনকাম করেন

কেমন আছেন? কথা না বাড়িয়ে কাজে নেমে পড়ি। প্রথমে বলে রাখি এটা শেয়ারইটের মতই। তবে এটাতে ফেসবুক , টুইটার , আর ইউটিউব  একাউন্ট থাকলেই হয়। প্রথমেই এই লিংকে